খেলাধুলা

‘জিম্বাবুয়েকে খাটো করার কিছু নেই, প্রতিপক্ষ প্রতিপক্ষই’

একটা সময় জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। পরে আস্তে আস্তে এই জিম্বাবুয়েকে ধরে ফেলে টাইগাররা। এখন তো পরিসংখ্যান যোজন যোজন এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকেই। আর খেলাটা যদি ঘরের মাঠে হয়, তবে তো কথাই নেই!

Advertisement

এই জিম্বাবুয়েকে নিয়ে এখন আর ওত দুশ্চিন্তা নেই টাইগারদের। এমন প্রতিপক্ষের কাছে হারের দুশ্চিন্তা করেন না ভক্ত সমর্থকরাও। তবে চোট কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আবার প্রতিপক্ষকে একদম তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে নারাজ। তার মতে, আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব। তবে ক্রিকেটে কোনো প্রতিপক্ষকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব কি না? এমন প্রশ্নে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, বিগত দুইবারের দেখায় আমরা ওদের হোয়াইটওয়াশ করেছি। আসলে ক্রিকেটে যেদিন যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। জিম্বাবুয়েকে এত খাটো করারও কিছু নেই। প্রতিপক্ষ সবসময়ই প্রতিপক্ষ। দেখেন, ইংল্যান্ডের মতো টিম নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল টি-টোয়েন্টিতে। তাই এটা আসলে জোর গলায় বলাটা কঠিন, তবু আমরা নিজেদের শতভাগ দিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।’

কি কারণে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য ঠিক করেছে, সেটিও ব্যাখ্যা করলেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলনামূলকভাবে অনেক এগিয়ে আমরা। মাঠের পারফরম্যান্সের দিক থেকে দেখেন, টেস্টে আধিপত্য বিস্তার করে আমরা তাদের হারিয়েছি। ওয়ানডেতেও শেষ কয়েকটা ম্যাচে হারিয়েছি। তো আমরা আশাবাদী, তবু বলা যায় না ক্রিকেট বলে কথা!’

Advertisement

শেষ ওয়ানডেতে খেলেছেন লর্ডসে বিশ্বকাপের ম্যাচে। এরপর চোটের কারণে দীর্ঘ সাত মাস ছিলেন দলের বাইরে। মাঠের বাইরে কেমন কাটলো দিনগুলো? সাইফউদ্দিনের জবাব, ‘দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য কষ্টকর। তারপরও মানসিক শক্তি রেখে সবকিছু পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। বিপিএল ও আন্তর্জাতিক খেলা দেখেছি। ফলে সময়টা খুব বেশি মনে হয়নি বাইরে কাটিয়েছি।’

এমএমআর/জেআইএম