পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন আদালত। এ মামলার আসামি পুলিশ দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে ঐশীর মায়ের বান্ধবী নুর জাহান মেরি সাক্ষ্য দেন । ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে কারাগার থেকে ঐশী রহমানসহ মামলার অপর আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামি মিজানুর রহমান রনি জামিনে রয়েছে। তিনিও আদালতে হাজির ছিলেন। এ মামলায় ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ মে ঐশী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এর আগে গত বছরের ৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু আল খায়ের মাতুব্বর ঐশীকে প্রধান আসামি করে আরো দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঐশী একাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। হত্যার আগে মা-বাবাকে ৬০টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কফি খাইয়েছিল। রাসায়নিক পরীক্ষায় ঘুমের ওষুধে নাইট্রাস, টেনিন ও ট্রমাজিপাম-৩ এর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া স্বপ্না রহমানের ব্রোঞ্জের রক্তমাখা ছুরি ও ঐশীর রক্তমাখা কাপড়ের রক্তের মিল পাওয়া গেছে। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ তাদের চামেলীবাগের বাসার বাথরুম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ঐশী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় ঐশীর চাচা বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনিকে গ্রেফতার করে। এসকেডি/আরআইপি
Advertisement