সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. ইউনুছ খান এ রিপোর্ট দাখিলের জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর ধার্য করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এ নিয়ে বিগত ৪০ মাসে ৩৪ বার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হলো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মামলায় ইতিমধ্যে ১৫৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে, যা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ২৭ জন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে বিটিআরসির সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি শেষে ওইদিন মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত সাগর-রুনির বাসা থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে সহায়তার জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।এই মামলার ছয় আসামি বর্তমানে জেলে রয়েছে। তারা হলো-সাগর-রুনি যে বাড়িতে থাকতেন ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন ও আবু সাঈদ।অপরদিকে মামলার আসামি তানভীর রহমান ও ওই বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গ্রেফতার আসামিদের একাধিবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়াটে বাসায় সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম নোমান বাদি হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একই থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এ মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।একে/বিএ
Advertisement