আন্তর্জাতিক

নজিরবিহীন নৈরাজ্যের পর নয়া পুলিশ কমিশনার দিল্লিতে

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বড় জমায়েতের ওপর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টানা ৭২ ঘণ্টার নজিরবিহীন যে সহিংসতা দিল্লি দেখল ও দেখালো তার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে পুলিশকে। জাতিসংঘ থেকে বিশিষ্টজন, বিরোধী নেতৃত্ব থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ এনেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে পুলিশ কমিশনার পদে রদবদল করা হয়েছে। দিল্লির নতুন পুলিশ কমিশনার হয়েছেন এস এন শ্রীবাস্তব। দিন কয়েক আগেই তাকে সেখানকার স্পেশাল কমিশনার (আইন শৃঙ্খলা) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

Advertisement

IPS officer SN Shrivastava appointed Delhi Police Commissioner, replaces Amulya Patnaik. (file pic) pic.twitter.com/m3QCLZD6St

— ANI (@ANI) February 28, 2020

বর্তমানে দিল্লির পুলিশ কমিশনার পদে রয়েছেন অমূল্য পাটনায়েক। শনিবার তিনি অবসর নেবেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর। দিল্লিতে দাঙ্গা চলাকালে পাটনায়েকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দিল্লির মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। তারা পুলিশকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এমনকি কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাসিন্দারা।

Advertisement

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী (সিএএ) আইনকে কেন্দ্র করে গত রোববার থেকে দিল্লির উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। অপরদিকে আহত হয়েছে আরও তিন শতাধিক মানুষ।

গত বছরের ডিসেম্বরে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করে মোদি সরকার। তারপর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর থেকেই মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সমালোচকদের দাবি, এই আইন ভারতের সংবিধানবিরোধী। এই আইনের কারণে মুসলিমরা আতঙ্কে আছেন যে, মোদির ভারতে তাদের হয়তো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হবে।

এনএফ/এমএস

Advertisement