একুশে বইমেলা

বইমেলায় শোভনের ‘ধরিত্রী বা মুনিয়ার কাছে’

স্কেচগদ্য সম্ভবত বাংলা সাহিত্যে এটাই প্রথম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত কল্পনা যদি বাস্তবতার স্কেচ হয়, তবে সাব্বির হোসেন শোভন তার ‘ধরিত্রী বা মুনিয়ার কাছে’ গ্রন্থে স্বার্থক ভাষায় তা অনুবাদ করেছেন।

Advertisement

প্রতিষ্ঠান বিরোধী ব্যক্তিগত ভাবনাকে তিনি যেভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, ঠিক তেমনভাবেই নোনা স্বাদের চরিত্রগুলোকে ছুটিয়ে চালিয়েছেন দক্ষ ঘোড়সাওয়ারীর মতো করে। সুররিয়ালিজম (পরাবাস্তববাদ) ভাবনাকে রূপ দিয়েছেন হাংরিয়ালিস্ট ভাষায়।

প্রেম যে কারো সঙ্গে হোক না কেন, সব প্রেমেই শুদ্ধতা রয়েছে। প্রেমের বহুগামী মনোভাব এসে মিলিত হয়েছে ঈশ্বর ভাবনায়, একবিন্দুতে। ঈশ্বর সন্দেহ বইজুড়ে নানা প্রশ্নের জোগান দিয়ে গেলেও, লেখকের ঈশ্বরকে উৎসর্গ করা বইটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

হাংরি আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব লেখকের ভাষায় খেয়াল করা যায়। এ আন্দোলনের ব্যাপারটা কিছুটা উঠে আসে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘বাইশে শ্রাবণ’ চলচ্চিত্রে। যৌনকর্মীদের একদম তীক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণের এক সুস্পষ্ট পর্যালোচনা লেখাটিতে ফুটে ওঠে। সেখানে তাদের জীবন এবং মনস্তত্ত্ব লেখক বাস্তবতার সঙ্গে মেলে ধরেছেন।

Advertisement

লেখকের বক্তব্য, উত্তরাধুনিক আমরা প্রায় সকলেই এবং আমাদের যে এক ঠিক আলাদা ভাবনা এবং দ্বিমুখিতা এবং তা যে কখনো কখনো বহুগামিতায় রূপ নেয়, কিন্তু নিজেরাও তা স্বীকার করে নিতে ভয় পায় এবং মানতে নারাজ। আমি ঠিক সেটাই স্কেচগদ্যে তুলে ধরতে চেয়েছি, সবাইকে নিজেকে চেনাতে চেয়েছি।

উত্তরাধুনিক মানুষের ঈশ্বর আর প্রেমের দ্বন্দ্ব নিয়ে এক গদ্যস্কেচ ‘ধরিত্রী বা মুনিয়ার কাছে’ বইটি পাওয়া যাবে সংহতি প্রকাশনীর ৫২১-৫২২ নম্বর স্টলে।

আলা সাদী/এমএসএইচ/এমএস

Advertisement