সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Advertisement
আজ দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে কলকাতার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরও) থেকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে ভারত ছাড়ার নির্দেশনায় বিশ্বভারতীর ওই শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আফসারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাচেলর অব ডিজাইন’ নিয়ে পড়াশোনা করতে।
এফআরও অফিস থেকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আফসারার বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬ এর সেকশন ৩ এর সাবসেকশন (২) অনুয়ায়ী তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আফসারাকে ভারত ছাড়তে হবে।
Advertisement
তবে নির্দেশিকায় তিনি ভারতবিরোধী ঠিক কি কার্যকলাপ করেছেন, সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, অ্যান্টি গর্ভমেন্ট অ্যাক্টিভিটিতে যুক্ত ছিলেন আফসারা।
আফসারা প্রথম সেমিস্টারের পড়াশোনা করছেন। বিশ্বভারতী পঠনপাঠন শেষ করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই নির্দেশের আফসারা ভয় পেয়েছেন।
কুষ্টিয়ার মেয়ে আফসারা আনিকা মিম এখন কি করবেন? কেন এই ভারতবিরোধী অভিযোগ? কি করেছিলেন তিনি? বিষয়গুলো আফসারা নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না। ফলে বাড়িতেও তিনি বিষয়টি সেভাবে জানাতে পারেননি বলে জানা গেছে।
মোদির রাজনৈতিক জীবনে এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটল। এর আগে ২০০২ সালে মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সে সময় তিনদিন ধরে দাঙ্গা পরিস্থিতিতে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। নিহতদের অধিকাংশই ছিল মুসলিম। কিন্তু আদালত থেকে নিয়োগকৃত একটি প্যানেল সহিংসতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ থেকে মোদিকে নিস্তার দিয়েছিল।
Advertisement
গত শনিবার জাফরাবাদে সিএএ বিরোধীরা রাস্তা অবরোধ করে। রোববার থেকে পাল্টা সিএএর পক্ষে সমাবেশ শুরু হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়।
এমআরএম/জেআইএম