মাদক বিক্রেতা বিল্লাল হোসেনকে হত্যার অভিযোগ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার আশাশুনি গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে নাজমুল হক (২৭), খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকা এলাকার নুরুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ ওমর ফারুক লাবলু (২৫) ও রূপসা উপজেলার শিরগাতি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাবু (২৫)। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক বাবু পলাতক রয়েছে।মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালের ১ মার্চ যশোরের-খুলনা বাসস্ট্যান্ডের কাছে কোকো নামে একটি আবাসিক হোটেলের ৪১৭নং কক্ষ ছদ্মনাম ব্যবহার করে ভাড়া নেন মাদক বিক্রেতা আব্দুল্লাহ ওমর ফারুক লাবলু ও বিল্লাল হোসেন। একই হোটেলের ৪১৪নং কক্ষ ভাড়া নেন নাজমুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক বাবু। পরে হিরোইন বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনজন মিলে বিল্লাল হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পর দিন সকালে ওই তিনজন হোটেলে থেকে পালিয়ে যায়।৩ মার্চ হোটেল বয় বিদ্যুৎ আলী ভাড়া আনতে গিয়ে রুম তালাবদ্ধ দেখতে পান। এছাড়া রুম থেকে দুর্গন্ধ টের পেয়ে হোটেল ম্যানেজারকে জানান। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে রুম খুলে বিল্লালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পত্রিকায় সংবাদ ও ছবি দেখে বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম পুলিশকে নিশ্চিত করেন, নিহত ব্যক্তিটি তার ভাই বিল্লাল।এই মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং নাজমুলকে গ্রেফতার ও তার স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হওয়ায় অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন ২০০২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে গত ১৫ মার্চ এ হত্যা মামলাটি যশোর থেকে খুলনার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়।আলমগীর হান্নান/এআরএ
Advertisement