চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখন দুই। এছাড়া আজ বুধবার সম্প্রতি ইতালির লোম্বার্ডি অঞ্চল ভ্রমণ করে দেশে ফেরা আরও এক ফ্রেন্স নাগরিক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জেরমি সলোমনের বরাতে এমন খবর জানানো হয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে। দুজনের মৃত্যু ছাড়াও ফ্রান্সে এখন করোনা সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ জন।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জেরমি সলোমন বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে ৬০ বছর বয়সী এক ফ্রেন্স নাগরিককে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানী প্যারিসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দূর্ভাগ্যবশত তিনি ওই হাসপাতালেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
প্রতিবেশী ইতালিতে করোনাভাইরাস ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভের পর থেকে সর্বোচ্চ সতকর্তা ও আগাম সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ফ্রান্স। আলজাজিরার ফ্রান্স প্রতিনিধি নাটাচা বাটলার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটা বোঝা যাচ্ছে যে, প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ফ্রান্স নানা সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।’
Advertisement
এদিকে সম্প্রতি ইতালি ভ্রমণ করেছেন এমন নাগরিক দেশে ফেরার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এমন ঘটনা এখন হামেশাই ঘটছে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে। এগুলো হলো ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, রোমানিয়া ক্রোয়েশিয়া এবং আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া।
ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম চলতি মাসের মাঝামাঝি ৮০ বছর বয়সী এক চীনা পর্যটকের মৃত্যু হয়। তিনি প্যারিসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে আজকের মৃত্যুর মাধ্যমে দেশটিতে প্রথম তাদের কোনো নিজের নাগরিকের মৃত্যু হলো। এ নিয়ে দেশটির মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বাড়ছে।
করোনাভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৫ জনের প্রাণহানি ছাড়াও আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬৪। দেশটির মূল ভূখণ্ডের অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলে মারা গেছেন আরও ৫৪ জন। এছাড়া ছয় মহাদেশের প্রায় চল্লিশটির মতো দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে অন্যান্য দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১২০ জন।
এসএ/পিআর
Advertisement