জরুরি ভিত্তিতে টোল ব্যবস্থায় অটোমেশনসহ গাড়িতে প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের মানুষের টোল দিতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সমস্যা হলো আমরা এখনও অটোমেশন করতে পারিনি। আমরা অটোমেশনের কাজ শুরু করেছি। সড়ক ও জনপদ এটির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে মোট সাতটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের আওতায় টোল প্লাজা অটোমেশন প্রকল্প রয়েছে। আজ যে প্রস্তবটি এসেছে সেটা হলো সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের আওতায় ধলেশ্বরীতে কম্পিউটারাইজড টোল প্লাজা করা হবে। এটা ছোট প্রকল্প। এখানে আগে যা ছিল তার থেকে সামান্য কিছু (আট কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা) বাড়ানো হয়েছে। এটা ভেরিয়েশন প্রকল্প। আগে এ প্রকল্পটির কাজ চলছিল। নতুন করে এ টাকা দিলে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।
Advertisement
মুস্তফা কমাল বলেন, আমাদের এখানে যে কাজটি জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার সেটা হলো অটোমেশন। আমাদের টোল ব্যবস্থায় অটোমেশন করতে হবে গাড়িতে প্রিপেইড মিটার লাগানো থাকবে৷ ফলে গাড়ি এক সেকেন্ডের জন্য থামবে না। আসবে আর যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রিপেইড মিটার কাজ করবে এবং সেই মিটারে অর্থ থাকবে সেটা চলতে পারবে। টাকা শেষ হয়ে গেলে অটোমেটিক গাড়ি চলবে না। আবার মিটারে টাকা ভরতে হবে।
তিনি বলেন, পোস্তগোলা ও ধলেরশ্বরী টোলপ্লাজা অটোমেশন করা হবে। সস্প্রতি পোস্তগোলা গিয়ে বলে আসছিলাম টোল ব্যবস্থাপনা অটোমেশন করতে। হয় অটোমেশন করেন না হয় টোল আদায় বন্ধ করেন। কিন্তু টোল না নিলে আমরা যে রাস্তা ঘাট করছি তা রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে যাবে। টোল আদায় ব্যবস্থা বিশ্বজুড়েই প্রচলিত।
যারা সারাবছর টোল দেয় তাদের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থা কী দেয়া যায় তা জানা নেই।
এমইউএইচ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement