জাতীয়

মাগুরা-ফরিদপুরের সাথে শৈলকুপার সড়ক যোগাযোগ উন্নত হচ্ছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাথে মাগুরা ও ফরিদপুর জেলার উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ তৈরি করতে একটি প্রকল্প অনুমোদন হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে শেখপাড়া-শৈলকুপা-লাঙ্গলবাঁধ সড়ক এবং শ্রীপুর-লাঙ্গলবাঁধ-ওয়াপদামোড় সড়ক দুটি প্রশস্ত ও মজবুত করা হবে।

Advertisement

‘শেখপাড়া (ঝিনাইদহ)-শৈলকুপা-লাঙ্গলবাঁধ (শ্রীপুর)-ওয়াপদামোড় (মাগুরা) জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ’ শিরোনামে প্রকল্পটি এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে । সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

সওজ বলছে, শেখপাড়া-শৈলকুপা-লাঙ্গলবাঁধ সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৬ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার। এ সড়কটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা থেকে লাঙ্গলবাঁধ নামক নদীবন্দরে যুক্ত হয়েছে। শৈলকুপার জনসাধারণ মাগুরা, ফরিদপুর, ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে এ সড়ক পথে যাতায়াত করে থাকে।

Advertisement

অন্যদিকে শ্রীপুর-লাঙ্গলবাঁধ-ওয়াপদামোড় সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৬ দশমিক ৬১ কিলোমিটার। এ সড়কটি শ্রীপুর থেকে লাঙ্গলবাঁধ দিয়ে ঢাকা-ফরিদপুর-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের সাথে ওয়াপদা মোড় নামক স্থানে যুক্ত হয়েছে।

কুষ্টিয়া, মাগুরা সদর এবং শ্রীপুরের জনগণ বিকল্প পথ হিসেবে এ সড়ক ব্যবহার করে আসছে। সড়ক দুটির উভয় পাশে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, গ্রোথ-সেন্টার ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে। বর্তমানে সড়ক দুটির অ্যানুয়াল অ্যাভারেজ ডেইলি ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সড়ক দুটি অত্যন্ত সরু যা মাত্র ১২ ফুট প্রশস্ত ও কাঠামোগতভাবে দুর্বল হওয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সড়ক দুটি প্রশস্ত করা ও মজবুত করার জন্য এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ, সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, নতুন সড়ক নির্মাণ, সড়ক পুনঃনির্মাণ, বিদ্যমান সড়ক প্রশস্তকরণ, বিদ্যমান সড়ক মজবুত করা, কার্পেটিং করা, একটি ব্রিজ নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ ১০টি, কনক্রিট ইউড্রেন নির্মাণ, আরসিসি প্লেট প্যালাসাইডিং, রোড মার্কিং, জেনারেল অ্যান্ড সাইট ফ্যাসিলিটিস, নির্মাণকালীন রক্ষণাবেক্ষণ, ইউটিলিটি স্থানান্তর, সাইন, সিগন্যাল, কিলোমিটার পোস্ট ইত্যাদি করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ হলো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শৈলকুপার সাথে মাগুরা ও ফরিদপুর জেলার উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

Advertisement

পিডি/এমএফ/এমএস