জাতীয়

আজকের স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা ২০৪১-এর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা শিক্ষা ও গবেষণার ওপর সর্বত্র গুরুত্ব দিয়েছি। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব স্ব বিভাগে আজ যারা পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক পেলে তারা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

Advertisement

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক-২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়- সে বিষয়ে তোমরা সুপারিশ করবে। শিক্ষার মানোন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করব। আমরা প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে সারাদেশে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে চাই। আটটি বিভাগে আমরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া জেলা পর্যায়েও আমরা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা দেশ-বিদেশে তাদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে। বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় এক সময় আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভয় পেত কিন্তু এখন আর ভয় পায় না। বিজ্ঞানে তারা অনেক সাফল্য দেখাচ্ছে। আমরা ২১০০ সালের যে ডেল্টাপ্ল্যান গ্রহণ করেছি সে অনুযায়ী আমাদের ছেলে-মেয়েরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবে- এ বিশ্বাস আমার আছে। আজ ছেলেদের চাইতে মেয়েরা বেশি স্বর্ণপদক পেয়েছে। ছেলেরো পিছিয়ে থাকবে কেন? আগামীতে ছেলেরা যেন কমপক্ষে সমান সমান হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। দুষ্টমি না করে ছেলেদের আরও পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত এ স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ১৬৩ শিক্ষার্থীকে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কৃতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও অধ্যয়নে উৎসাহ প্রদানের জন্য ইউজিসি ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রবর্তন করে।

এফএইচএস/জেএইচ/এমকেএইচ

Advertisement