বিনোদন

রানআউটের পোস্টারে কেন ১৮ প্লাস?

অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বছরের আলোচিত ছবি ‘রানআউট’। এটি তন্ময় তানসেনের ছোট পর্দার নির্মাতা থেকে বড় পর্দায় যাত্রার দ্বিতীয় জাহাজ। ছবিটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে এর পোস্টার প্রকাশের পর।আলোচনা না বলে সমালোচনা বলাই ভালো। বেশ কিছু পোস্টার প্রকাশ হয়েছে রানআউটের। তার মধ্যে একটিতে দেখা গেছে দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ছবির নায়ক সজল ও অভিনেতা তারিক আনাম খান। আর মাঝখানে বড় করে ফোকাস করা হয়েছে নায়লা নাইমকে। অথচ, এই ছবিতে নায়লার উপস্থিতি মাত্র একটি আইটেম গানে। ছবির মূল নায়িকা চরিত্রে কাজ করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ মৌসুমী নাগ। তার সাথে আরো আছেন রোমানা স্বর্ণা। ছবিটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। কিন্তু এই তিন তারকাকে পোস্টোরে দেখাই যায়নি। তবে একটি পোস্টার দেখা গেছে, যেখানে সজল, তারিক আনাম  ও নায়লার সাথে ওমর সানির উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু বেমালুম হাওয়া মৌসুমী ও স্বর্ণা! বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ছবিটির শিল্পীদের মনে। তবে এসব ছাপিয়ে আরো একটি সেনসিটিভ বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তন্ময় তানসেন। তিনি নিজের ফেসবুকে ছবিটির বেশ কয়েকটি পোস্টার প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরাও পোস্টারগুলো শেয়ার করে বেড়াচ্ছেন। সেসব পোস্টারে দেখা গেছে ছবিটিকে বয়স্কদের দাবি করে ‘১৮+’ লেখা রয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্রে বয়স ভিত্তিক কোনো সাংকেতিক শব্দ ব্যবহারের নিয়মই নেই।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাগো নিউজ থেকে সেন্সর বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গ্রেডিংয়ের কোনো নীতিমালা নেই। এখানে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের বেলাতেও পোস্টারে লেখা থাকে না এটি শিশুদের ছবি। তেমনি বড়দের ছবি বলতেও আলাদা করে বোঝানোর কিছু নেই। পরিচালক নিজের ছবিটিকে দর্শকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে নানা ধরনের স্লোগান বা শিরোনাম জুড়ে দিতে পারেন। যেমন এটি একটি প্রেমের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের ছবি ইত্যাদি। কিন্তু বয়স ভেদে গ্রেডিং করার অনুমতি নেই। কেননা, শুধুমাত্র বড়দের জন্য বলতে অশ্লীলতা বা নিষিদ্ধ দৃশ্য আছে এমন ছবিকেই বোঝায়। এধরণের ছবি সেন্সর থেকে কখনোই ছাড়া হয় না। সেন্সর বোর্ডের এক কর্মকতা বলেন, ‘যেহেতু রানআউটকে প্রদর্শনীর অনুমতি দেয়া হয়েছে তার মানে ছবিটিতে আপত্তি তোলার মতো কিছু পায়নি সেন্সর বোর্ড। এখন পরিচালক যদি সেটিতে নতুন কিছু যোগ করে ছবিটাকে ১৮+ দাবি করেন তবে এই ছবির ছাড়পত্র দেয়ার দোষটা সেন্সর বোর্ডের উপরই বর্তায়। তাই পরিচালকের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে। দরকার হলে ছবির প্রদর্শনী বন্ধ করা হবে। কারণ, নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারোর নেই।’সেন্সর থেকে আরো বলা হয়, এ বিষয়টি নিয়ে অনেকই অভিযোগ করছেন। পরিচালক নিশ্চয়ই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। তার উচিত সেন্সর বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া- কেন তিনি ছবিটির পোস্টারে ১৮ প্লাস প্রতীক ব্যবহার করছেন? যদি প্রচারের আকর্ষণ বাড়ানোই এর উদ্দেশ্য হয় তবে খুব শিগগিরই তাকে এটি সরিয়ে নিতে হবে। নইলে বোর্ড তার নিজ দায়িত্বেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্রে বয়স ভিত্তিক কোনো সাংকেতিক শব্দ ব্যবহারের নিয়মই নেই এটা সব নির্মাতারাই জানেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে এটুকু জানা সাধারণ জ্ঞানের পর্যায়ে পড়ে। আর তাই তন্ময় তানসেনের মতো একজন জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ নির্মাতার কাছ থেকে এমন অনভিজ্ঞতাসুলভ আচরণে অবাক হয়েছেন সবাই।এলএ

Advertisement