ইংলিশ অধিনায়ক হিদার নাইট যখন উইকেটে এলেন, দলের রান তখন ২ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৭ রান। দুই ওপেনার অ্যামি জোনস ও ড্যানিয়েল ওয়েট ফিরে গেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তিন নম্বরে নামা নাটাইল সিভারের ওপর তখন পাহাড়সম চাপ।
Advertisement
চার নম্বরে নেমে অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়েই সে চাপ জয় করলেন হিদার। যোগ্য সঙ্গ দিলেন সিভার। দুজন মিলে ১১০ বলে যোগ করলেন ১৬৯ রান। দুই উইকেটে ৭ রান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের সংগ্রহ দাঁড়াল ২ উইকেটেই ১৭৬ রান।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটার সিভার ও হিদার। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। তারা ভেঙে দিয়েছেন ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা লিজল লি ও ড্যান ফন নিকার্কের উদ্বোধনী জুটির ১৬৩ রানের রেকর্ড।
জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে ৫২ বলে ৫৯ রান করেছেন তিন নম্বরে নামা সিভার। তবে থাই নারী বোলারদের তুলোধুনো করার কাজটা একাই করেছেন অধিনায়ক হিদার। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। শেষপর্যন্ত খেলেন ৬৬ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। যেখানে ছিলো ১৩ চার ও ৪ ছয়ের মার।
Advertisement
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। আর কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের সব আসর মিলিয়ে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। সবার আগে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেবেন্দ্র ডটিন। পরে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগ ল্যানিং এবং ২০১৮ সালের আসরে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন ভারতের হারমানপ্রিত কৌর।
আজ বিশ্বকাপের চতুর্থ সেঞ্চুরির মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড হয়ে গেছে হিদারের। সেটি হলো, বিশ্বের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। নারী ক্রিকেটে এ কীর্তি নেই আর কোনো ব্যাটারের। পুরুষ ক্রিকেটে এ কীর্তি রয়েছে বেশ কয়েকজনের। সবার আগে এ রেকর্ড করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হিদারের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০১৩ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে ১৫৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। পরে ২০১৭ সালে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ১০৬ রান। আর এবার কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এলো ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
হিদারের সেঞ্চুরিতে বড় জয়ই পেয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের করা ১৭৬ রানের জবাবে মুখ থুবড়ে পড়েনি থাইল্যান্ড। তবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ফলে ৯৮ রানের বড় ব্যবধানেই জিতেছে ইংল্যান্ড।
Advertisement
এসএএস/এমকেএইচ