বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তারের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহাগকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নগরীর পুরাতন পাসপোর্ট গলিতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন হেনা আক্তার। সোহাগ ও হেনা দম্পতির এক বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। মহানগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, সোহাগ অছাত্র হলেও ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছর বিএম কলেজে তখনকার ছাত্রলীগের একাংশের ছত্রচ্ছায়ায় ক্যাম্পাসে দাপুটে ছিল। সোহাগ নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা বলে পরিচয় দিত। এ সূত্রে পরিচয়ের জেরে তখনকার ছাত্রলীগ নেত্রী হেনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এবং প্রায় তিন বছর আগে তারা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রহমান মুকুল সোহাগের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে স্বামী সোহাগের বাসার একটি কক্ষের দরজা আটকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হেনা। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় শেরেবাংলা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরপর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
Advertisement
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে হেনা আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। তবে আত্মহত্যা না অন্য কিছু তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হেনার স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এমএএস/পিআর