সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনে আরো চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোট ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আগামী ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চারদিন রাজন হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানান রাজনের বাবার আইনজীবী মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত। সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন, রাজনের গ্রাম বাদে আলির বাসিন্দা মো. লুৎফুর রহমান, কাচা মিয়া, কাচা মিয়া ওরফে কচি ও বাবুল মিয়া। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় ১০ জন সাক্ষ্য দিলেন।মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত (৩২), তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজউদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেলকে।সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানান, সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবার হোসেন মৃধা বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জানান, মামলাটি দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে আগামী ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।গত ৭ অক্টোবর বুধবারও আলোচিত এই হত্যা মামলায় ৪ জনের সাক্ষ্য প্রদান করেন আদালত। গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ ৩ জন পলাতক রয়েছেন।গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষ্যে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠান।গত ২৪ আগস্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ ৩ পলাতক আসামিদের মালামাল ক্রোক করে।প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ছামির মাহমুদ/এসএস/আরআইপি
Advertisement