সিদ্ধিরগঞ্জে আবারো বিএনপি নেতার হাতে এক সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় রিকশাযোগে স্কুলে যাওয়ার পথে শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে মারধর করা হয়।এ সময় ওই শিক্ষককে গালিগালাজও করেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিএনপি নেতা সামসুল হক। এর আগে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করা ছাড়াও প্রায় সময় নারী শিক্ষিকাদের রাস্তায় কটূক্তি করে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।এদিকে বিএনপি নেতার হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা ক্লাস করতে ভয় পাচ্ছেন। এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।এলাকাবাসী জানায়, অন্যান্য দিনের মতো শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের বাসা থেকে রিকশাযোগে স্কুলে যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী রিকশাটি স্কুলের কাছে সোনামিয়া মার্কেটের সামনে পৌঁছালে বিএনপি নেতা সামছুল হক রিকশাটির গতিরোধ করে স্কুল শিক্ষককে রিকশা থেকে নামিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতে থাকে। এ সময় তিনি ওই শিক্ষককে গালমন্দও করতে থাকে। এ সময় হতবাক হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীরা।এলাকাবাসী জানায়, এর আগে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে লাঞ্ছিত করেছিলেন হাজী সামসুল হক। পরে সমাজের বিভিন্ন লোকদের ধরে প্রধান শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি রক্ষা পান।এলাকাবাসী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানায়, সামসুল হকের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ রয়েছে। সানারপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নিচে মোতালেবের দোকানে বসে নারী শিক্ষিকাদের নিয়ে কটূক্তি করারও অভিযোগ রয়েছে।এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা সামছুল হক মুঠোফোনে জানায়, প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছি। কিন্তু শিক্ষক তাহেরকে মারধর করিনি। তবে তাকে কলার চেপে রিকশা থেকে নামিয়ে স্কুলের হিসাব চেয়েছি।সামসুল হক সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। তার ছেলে তৈয়ব হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির বতর্মান কমিটির সভাপতি।হোসেন চিশতী শিপলু/এসএস
Advertisement