বিনোদন

আলোচনায় সালমান শাহের সুইসাইড নোট

ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে এমন তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

Advertisement

প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তুলে ধরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনাসংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে সালমান খুনে অভিযুক্তরা সব দায় থেকে মুক্ত হলেন।’

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে সামনে এসেছে সালমান শাহের লেখা সুইসাইড নোট। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় সালমানের বাসায় পাওয়া যায় তার লাশ। পরে সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছেলের অপমৃত্যুর মামলা করেন রমনা থানায়। সেই সময় সালমানের বাসা থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট বা আত্মহত্যার চিঠি উদ্ধার করে।

পুলিশের পাওয়া ওই সুইসাইড নোটে যা লেখা ছিল, ‘আমি চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পিতা-কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ১৪৬/৫, গ্রিন রোড, ঢাকা-১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আজ অথবা আজকের পরে যেকোনো দিন মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’

Advertisement

সুইসাইড নোটের শেষে কারও স্বাক্ষর ছিল না। পরে সিআইডির হস্তবিশারদরা চিঠিটা পরীক্ষা করেন এবং তারা বলেন, এটা সালমান শাহের হাতের লেখা। এরপর সেই সময় এ সুইসাইট নোট প্রকাশ্যে এলে বিষয়টি অস্বীকার করেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।

নীলা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমরা ওকে ইমন নামেই ডাকতাম। অথচ চিঠিতে ইমন নাম কোথাও নেই। ও থাকতো ইস্কাটনের বাসায়। সালমান শাহ নামটিও ঠিকানার পর লেখা। কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগে এ রকম গুছিয়ে বাবার নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে চিঠি লিখে বলে আমার জানা নেই। এ চিঠি যারা আমার ছেলেকে খুন করেছেন তারাই লিখেছেন।’

কিন্তু আজ সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্তের পর জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড নয়, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে মানসিক যন্ত্রণায় বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন।

এমএবি/এলএ/এমকেএইচ

Advertisement