করোনাভাইরাসে একদিনে আরও ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। মৃত্যুর সংখ্যা হু হু বাড়ছে চীনের বাইরেও। সব মিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬১৯ জনে, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনের বাইরে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
Advertisement
তবে এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৫ জন, আরব আমিরাতে ১ জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজন না হলে বিদেশভ্রমণ থেকে বিরত থাকা এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সেখানে ভাষাগত সমস্যায় পড়লে প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করবেন।
Advertisement
এদিকে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে দ্রুত নতুন রোগী বাড়তে থাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বে আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিস্তার ঠেকাতে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি ভাইরাস উপদ্রুত এলাকাগুলো অবরুদ্ধ করে ফেলার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, কিন্তু মৃত্যুর মিছিল থামছে না।
গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে এসেছে- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই।
আক্রান্ত রোগীদের লালা ও শ্লেষ্মা পরীক্ষা করে চীনা বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সার্সের চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই এর মিল পাওয়া যাচ্ছে বেশি। আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও সহজে এবং দ্রুত গতিতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
Advertisement
এমইউএইচ/বিএ/পিআর