আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদ পৌঁছেই ট্রাম্প-মেলানিয়ার আপ্যায়নে যা থাকছে

দুদিনের সফরে সস্ত্রীক ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি আহমেদাবাদে পা রাখবেন। ট্রাম্পের আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি রাখতে চায় না মোদি সরকার। খাবারের মেন্যুতে থাকছে বিচিত্র সব আইটেম।

Advertisement

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার পরিবারের সদস্য ও একশোর অধিক অতিথিদের জন্য প্রথম আপ্যায়নে থাকছে গুজরাট ঐতিহ্যবাহী কয়েক পদের খাবার আর ইংরেজ স্ন্যাকসের মিশ্রণ। এসব খাবারের তালিকায় চা পর্বে থাকছে গুজরাটের খামান (মোটা ডাল দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার), ব্রোকলি ও ভুট্টা দিয়ে বানানো সমুচা, কাদাক চা ও কাজুবাদাম দিয়ে তৈরি কাজু-কাটলি (এক ধরনের বরফি)। আর এসবই পরিবেশন করা হবে প্রেসিডেন্টের সবরমতি আশ্রম পরিদর্শনের সময়।

এখানেই শেষ নয়। থাকবে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস ও কুকিজ। আহমেদাবাদভিত্তিক ফরচুন ল্যান্ডমার্ক হোটেলের নির্বাহী শেফ সুরেশ খান্না বলেছেন, ‘এসব মজাদার আইটেম ছাড়াও প্রেসিডেন্টের মেন্যুতে থাকছে জুস, বিভিন্ন ধরনের কুকিজ এবং আপেল দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার।

গুজরাটের তাপমাত্রা এখন ক্রমেই বাড়ছে। মার্কিন অতিথিদের জন্য তাই বিশেষ এসব খাবার তৈরিতে নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। গরমে যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোনো ধরনের অস্বস্তি তৈরি না হয়, সেজন্য আলু ও ঘি বাদেই এসব খাবার তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

ভারতে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফর করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ভারতজুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আহমেদাবাদে নামবে ট্রাম্পকে বহনকারী বিশেষ বিমান। ট্রাম্পের এই সফরে বিশ্বের বৃহত্তম দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর জোর দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাট দিয়েই ভারত সফর শুরু করবেন ট্রাম্প। সেখানে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভাষণ দেবেন তিনি। এরপরেই ট্রাম্প যাবেন আগ্রার তাজমহল দেখতে। তারপর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারত সফরে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ। ২০১৮ সালে দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক বছরে দু'দেশের মধ্যে রাজনৈতিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেলেও বাণিজ্যিক ইস্যুতে এখনও সমস্যা রয়েই গেছে।

গত পাঁচ বছরে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ৮বার দেখা হয়েছে। দু'জনই দু'জনকে প্রকৃত বন্ধু বলে সম্বোধন করলেও একে অন্যের ওপর নতুন করে শুল্ক চাপিয়েছেন, বাদ দিয়েছে বিশেষ সুবিধাগুলো। ফলে বাণিজ্য চুক্তিগুলো আলোর মুখ দেখেনি।

Advertisement

এসআর/পিআর