প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিলানের লোম্বারদিয়া অঞ্চলের ক্রেমনা প্রভিন্সে এক নারীর মৃত্যু হয়।
Advertisement
ইতালির গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে প্রায় ১৫০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে লোম্বারদিয়া অঞ্চলে ১১২ জন, ভেনেতো অঞ্চলে ২৫ জন, পিওমন্তে অঞ্চলে ৬ জন, লাছছিও অঞ্চলে দুজন এবং এমিলা রোমানিয়া অঞ্চলে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে লোম্বারদিয়া অঞ্চলে দুজন এবং ভেনেতো অঞ্চলে একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সোমবার থেকে লোম্বারদিয়া, ভেনেতো, পিওমন্তে ও ভেনেসিয়াসহ চার অঞ্চলে সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গির্জা সিনেমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফুটবল লীগ, নাইট ক্লাব ও জাদুঘর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাতিল করা হয়েছে ভেনিস কারনেভাল উৎসব।
করোনার আতঙ্কে খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশংকায় রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সব সুপার মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
Advertisement
ইতালি সরকার আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছেন। পাশাপাশি আক্রান্ত এলাকায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ইতালির লোম্বার্দী ও ভেনেতো রিজিয়নে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। জরুরি কনস্যুলার সেবা গ্রহণ ছাড়া অন্যান্য সকল কারণে আপাতত কনস্যুলেট ভিজিট হতে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাগা নিয়মিত মিলান কনস্যুলেট পেজে চোখ রাখতে বলা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহান থেকে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৯টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আড়াই হাজার দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই মারা গেছেন ২ হাজার ৪৬৫ জন। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৯৩০ জনে।
Advertisement
এমএসএইচ