আন্তর্জাতিক

কোভিড-১৯: দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের পর সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইন বলেছেন, ‘দেশ এখন গুরতর এক সংকটের মুখে। আগামী কিছুদিন এই মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সংঘবদ্ধ লড়াই হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Advertisement

করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৬০২ জন। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দায়েগুর এক ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং একটি হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে শঙ্কা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের।

চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। চীনে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজারের বেশি। এছাড়া জাপানে ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের এক প্রমোদতরীতে শত শত যাত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানেও ছয় শতাধিক মানুষ চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে সংক্রমিত।

মন্ত্রী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইন বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের ঘটনা ভয়াবহ অবস্থার দিকে মোড় নিচ্ছে। আগামী কয়েকদিন হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে সতর্কতার সীমা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

Advertisement

কোরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (কেসিডিসি) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার নতুন করে ১৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন—যাদের মধ্যে ৯৫ জনই দায়েগু শহরে অবস্থিত শিনচেওঞ্জি চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ওই চার্চটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে এখন পর্যন্ত মোট ৩২৯ জন করোনা আক্রান্ত হলেন।

এছাড়া দায়েগুর পার্শ্ববর্তী শহর চেংগোদুতে অবস্থিত দায়েনাম নামের একটি হাসপাতালে সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে ১১০ জনের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা কর্মীও রয়েছেন। ওই হাসপাতালে মানসিক প্রবীণ ও মানসিক রোগ আক্রান্তদের সেবা দেয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের কারখানাতে এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করার পর কারখানাটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গুমিতে অবস্থিত ওই কারখানায় স্মার্টফোন ফোন তৈরি করতো স্যামসাং।

করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ নামক রোগে চীনে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ৯৩৬ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪২। বিশ্বের ২৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ২১ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার ৮৬৪ জন।

Advertisement

এসএ/এমকেএইচ