দেশজুড়ে

ইলিশ ধরার দায়ে জেলে আটক : কারেন্ট জাল ধ্বংস

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় চার জেলেকে আটক করে জেল ও জরিমানা আদায় করেন আদালত। পরে তাদের ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও কিছু মাছ জব্দ করে পুলিশ। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরা বিক্রি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিছু অসাধু জেলে পদ্মার শাখা মধুমতিতে গোপনে নানা কৌশলে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা অব্যহত রাখেন। তাদের নিবৃত করতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মধুমতি নদীর গোপালনগর, ঝামা, জাঙ্গালিয়া রায়পাশা কালিশংকরপুর, যশোবন্তপুর ও আড়মাঝি পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, চারজন জেলে ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও কিছু ইলিশ মাছ জব্দ করে পুলিশ।আটক জেলেরা হলেন, চরপাচুড়িয়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪২), ছাবিনগরের মুনছুর উদ্দিনের ছেলে মমিন উদ্দিন (৫০), কলমধরীর রশীদ শেখের ছেলে হাসেম আলী (৪৫) ও তল্লাবাড়িয় গ্রামের মৃত আসির উদ্দিন শেখের ছেলে শামছুু শেখ (৫২)। কামরুল ইসলামের সাতদিনের জেল ও বাকি তিনজনের তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে থানা ভবনের সামনে ইউএনওর উপস্থিতিতে জব্দকৃত প্রায় দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০টি সাংড়ে জালে অগ্নিসংযোগ করা হয়। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ কুার বিশ্বাস ও এসআই ইমরোজ। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে এ ধরনের অভিযান আরও চলবে।মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/আরআইপি

Advertisement