জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে ছেড়ে দেয়া এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ওই প্রমোদতরী থেকে ছেড়ে দেয়ার সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয়েছিল যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। কিন্তু পরে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।
Advertisement
ফলে কোয়ারেন্টাইনের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে, ওই প্রমোদতরীর ২৩ যাত্রীকে সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, গত বুধবার প্রমোদতরী থেকে ট্রেনে করে টোকিওর উত্তরাঞ্চলীয় টোচিগি এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরে যান ৬০ বছর বয়সী ওই নারী। কিন্তু গত শুক্রবারেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে শনিবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় যে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রমোদতরী থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা। শনিবার টোচিগির গভর্নর টোমোকাজু ফুকুদা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন এমন যেসব যাত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে এখন এটা পরিষ্কার যে, এসব লোকজনও পরবর্তীতে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
Advertisement
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনকে অতিরিক্তি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। বুধবার ৯৭০ জনকে ওই প্রমোদতরী থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
অপরদিকে শনিবার আরও শতাধিক যাত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব কাছাকাছি ছিলেন। ফলে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তাদের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি।
ওই প্রমোদতরীর এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ায় এটি দু'সপ্তাহ ধরে কোয়ারেন্টাইনে ছিল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এই প্রমোদতরীতে প্রায় ৩ হাজার ৭শ যাত্রী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এক প্রকার বন্দি জীবন-যাপন করছিলেন। সম্প্রতি কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হওয়ায় যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
টিটিএন/পিআর
Advertisement