ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সান্ধ্য কোর্স বন্ধ না করা হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এ ব্যাপারে ডাকসুতে থাকা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ একমত পোষণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সুস্থ রাখার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করার ঘোষণা দিয়েছেন এ দুই সংগঠনের নেতারা।
Advertisement
জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধের সুপারিশপত্র একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। তবে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হলে কঠিন অবস্থা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সান্ধ্য কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এছাড়া সান্ধ্য কোর্স যেন বন্ধ না হয়- এ বিষয়ে তারা দৌড়ঝাঁপও করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হলে কী প্রতিক্রিয়া হবে সে বিষয়ে শিক্ষক সমিতির মিটিংয়ে জানানো হয়েছে। এছাড়া একাডেমিক কমিটি সান্ধ্য কোর্স বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের কোনো প্রার্থীকে সামনে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোট না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
তবে শিক্ষকদের এসব হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করছেন না ডাকসুর নেতারা। তারা সম্মিলিতভাবে বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্সের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন।
Advertisement
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষকরা তাদের বাণিজ্যিক কারণে সান্ধ্য কোর্স বন্ধের বিরোধিতা করছেন। সান্ধ্য কোর্স যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযোগী হতো তাহলে ইউজিসি বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্স বন্ধের নির্দেশনা দিত না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ডাকসুর পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্স বন্ধের দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদেরকে বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্স বন্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন একাডেমিক কাউন্সিলে জমা দেয়া হয়েছে। এখন একাডেমিক সভায় যদি বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্স বন্ধের ঘোষণা না দেয়া হয় তাহলে আমরা ডাকসুর পক্ষ থেকে আন্দোলনে যাব।
সান্ধ্য কোর্স বন্ধের বিষয়ে ভিপির মতো একই কথা বলেছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ডাকসু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে। সান্ধ্য কোর্সের জন্য যদি নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মাননীয় রাষ্ট্রপতির কথা যথাযথ পালন করবে। আর তা না হলে আমরা ডাকসুর পক্ষ থেকে সম্মিলিত আন্দোলনে যাব।
ডাকসুর সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্স থাকবে না। আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সান্ধ্য কোর্স বন্ধ না করে তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করতে হয় তা ভালোভাবেই জানে।
Advertisement
আরএস/পিআর