দীর্ঘ সাত বছর পর সৌদি আরবের শ্রম বাজারে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। আর এ সুযোগে সৌদিতে গৃহকর্মীদের নিয়োগ দিতে বিভিন্ন প্রতারক চক্র শ্রমিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। খবর সৌদি গেজেটের।এর আগে, বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগ বন্ধ থাকায় ফিলিপাইন থেকে ৪০০ গৃহকর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি সরকার। কিন্তু ফিলিপাইনের জনশক্তি রফতানিকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠে। পরে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় ও ফিলিপাইন দূতাবাস শ্রমিক নিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করে।সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি প্রতারক চক্র গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বাংলাদেশে এই চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মাত্র ২০ দিনেই সৌদিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় যেখানে মাত্র ৭ হাজার সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৫৭ টাকা) নিয়োগের খরচ নির্ধাণ করে দিয়েছে সেখানে এই প্রতারক চক্রটি তার তিনগুণ চার লাখ ১৫ হাজার ৩০৬ টাকা (২০ হাজার সৌদি রিয়াল) হাতিয়ে নিচ্ছে।জনশক্তি রফতানিকারী সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার খরচ ১০০০ ডলার থেকে বেড়ে ১৮০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। দেশে শ্রমিক নিয়ে আসতে যে খরচ হচ্ছে তা মেটাতে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৭ হাজার ডলার ব্যয় এখন আর যথেষ্ট নয়। একইরকম অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। তারা বলছেন, খরচ বেড়েছে ৮০ শতাংশ। বাংলাদেশে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ সময় লাগে ৪ সপ্তাহ। ফলে শ্রমিকদের সৌদি আরবে যেতে দেরি হচ্ছে। ফলে খরচ হিসেবে অতিরিক্ত টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে বলে শ্রমিক নিয়োগদাতা একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।সাত বছর পর সৌদি আরবের শ্রম বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শ্রমিকদের ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়।এসআইএস/আরআইপি
Advertisement