বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খুলনার গুদাম থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে ইতোপূর্বের বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন সিজ করবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা। এই আত্মসাতের ঘটনায় বিএডিসির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাই জড়িত আছেন বলেও জানা গেছে। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম ইকবাল জাগো নিউজকে জানান, সার আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির রাঘব বোয়ালরা জড়িত রয়েছেন। সার আত্মসাতের ঘটনায় ইতোপূর্বে যে সব তদন্ত হয়েছে সেগুলোর প্রতিবেদন সিজ করা হবে। একই সঙ্গে বিএডিসির সচিবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।এদিকে খুলনার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বর্তমান ও সাবেক অনেক কর্মকর্তা জড়িত বলে সূত্র জানিয়েছে। ফলে তারা অনেক আগে থেকেই নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সূত্র জানায়, সহকারী ভান্ডার রক্ষক গত কয়েক বছর ধরে হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ ও ২৫ মে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ খুলনার শিরোমনি, রুজভেল্ট ও বয়রা গুদাম পরিদর্শন করে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার ঘাটতির প্রতিবেদন দেয়। খুলনা বিএডিসির সহকারী পরিচালক (সার) মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন মোল্লা এ ঘটনায় ১২ মে মামলা করলে সহকারী ভান্ডার রক্ষক জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার হয়। তবে এই মামলায় আরো কয়েকজন আসামি হবে। এদিকে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সার আত্মসাতের ঘটনায় বিএডিসির প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির উপ-সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গেছে, খুলনার বিএডিসি গুদামে সার ঘাটতি ও নিম্নমানের সার মজুদ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে ৬ সদেস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়। বিএডিসির যুগ্ম পরিচালকের নেতৃত্বে তদন্তকালে সারের গরমিলের বিষয়টি ধরা পড়ে।তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএডিসির সচিব (সার) দেলওয়ার হোসেন ৪১৭২/১ (৪)নং স্মারকে সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি
Advertisement