আন্তর্জাতিক

আজমির শরিফে চাদর দিলেন মোদি

উপমহাদেশের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থস্থান হলো ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আজমির শরিফ। পাহাড়বেষ্টিত আনা সাগরের তীরে ৪৮৬ ফুট উচ্চতায় দৃষ্টিনন্দন সবুজ উদ্যানে সমন্বয় ঘটেছে ধর্ম, ইতিহাস আর স্থাপত্য নিদর্শনের। আজমির শুধু মুসলমানদের তীর্থস্থান নয়, এটি ভারতের সব ধর্মের মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে।

Advertisement

আজমির শরিফের জন্য চাদর দান করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। এর আগে গত বছরও নরেন্দ্র মোদি আজমির শরিফে চাদর দিয়েছিলেন।

ছবিতে দেখা যায়, আজমিরের ধর্মগুরুদের হাতে চাদর তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন মোদি। একটি চাদর সবাই একসঙ্গে মেলেও ধরেন। আজমির শরিফের ধর্মীয় গুরুদের সঙ্গে প্রার্থনাও করতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদিকে।

উল্লেখ্য, ধর্মগুরু খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ ঘোরির সঙ্গে ভারতে আসেন। মইনুদ্দিন চিশতিই উপমহাদেশে প্রথম চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতা বা সুফি ধারার প্রচার করেন। পরবর্তীতে তার অনুসারীরা ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।

Advertisement

কিংবদন্তি প্রবাদপুরুষ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের সঞ্জারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গরিবে নেওয়াজ নামেও পরিচিত।

একসময় আজমির নামেই ভারতের একটি রাজ্য ছিল। বর্তমানে যার নাম রাজস্থান। এটিই ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য। আজমির শরীফ সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। আজমির শরীফের ভেতরে রয়েছে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির ভেলভেটে মোড়ানো শ্বেত মর্মরের সমাধি বেদি। রূপার রেলিং দিয়ে ঘেরা ও সোনায় মোড়ানো গম্বুজাকৃতির সিলিং। ভক্তরা এখানে তাকে সম্মান জানান।

এমএফ/এফআর/জেআইএম

Advertisement