আন্তর্জাতিক

করোনায় হুবেই প্রদেশে এক দিনে প্রাণ গেল ১১৫ জনের

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনের হুবেই প্রদেশে আরও ১১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে প্রদেশটিকে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪৪ জনে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মারা গেছেন অন্তত ২২৪৫ জন।

Advertisement

এছাড়া চীনের বাইরে জাপানে তিনজন, হংকংয়ে দুইজন, ইরানে দুইজন, তাইওয়ানে একজন, ফিলিপাইনে একজন, ফ্রান্সে একজন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন করে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪১১ জন। হুবেইতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪৪২ জনে।

বিশ্বজুড়ে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৭ হাজার। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

এদিকে চীনের বাইরে সবচেয়ে আক্রান্ত রয়েছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডে। এই প্রমোদতরীতে ৬২১ জনের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।

এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়ার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে ছিল প্রিন্সেস ডায়মন্ড। কার্নিভাল করপোরেশনের বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে প্রায় তিন হাজার ৭০০ যাত্রী ছিলেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর চীনের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে।

এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

Advertisement

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

বিএ