জাতীয়

মার্চে জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে মার্চে জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের কথা রয়েছে।

Advertisement

সফরকালে বাংলাদেশ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি দেশটির বিখ্যাত সাকুরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এ সফরে দুই দেশের মধ্যে নতুন কোনো চুক্তির সম্ভাবনা নেই। তবে পুরোনো চুক্তিগুলো পর্যালোচনা ও যথারীতি ফলোআপ থাকবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মতকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে নতুন কোনো চুক্তির সম্ভাবনা না থাকলেও সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ মুহূর্তে জাপান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।

Advertisement

তিনি বলেন, এ কারণে বন্ধু রাষ্ট্রদের সমর্থন নিজের পক্ষে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছে জাপান। বাংলাদেশ জাপানের পরীক্ষিত বন্ধু হওয়ায় গত বছর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফর করে ২০২০ সালের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফরে আমন্ত্রণ জানান। এর প্রেক্ষিতে আগামী মার্চের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। দুদিন জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসের শেষ দিকে জাপানে নিক্কি কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে আড়াই বিলিয়ন ডলারের ৪০তম ওডিএ সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। এ অর্থ দিয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট-এমআরটিসহ মোট পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জাপানের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্চে আমন্ত্রণ জানানোর অন্যতম কারণ এ সময়ে সাকুরা ফুলে ভরে ওঠে জাপান। এছাড়া সফরকালে জাপানের সম্রাটের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জানা যায়, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্পর্কের সবদিক নিয়ে আলোচনা হবে। এদিকে ২০২৫ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপান। বৈঠকে এ বিষয়ে জাপান বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইতে পারে। ২০২৩-২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে লড়তেও ঢাকাকে পাশে চায় টোকিও।

Advertisement

জেপি/এএইচ/জেআইএম