বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আপেল মাহমুদ (৩২) নামে এক বিএনপি কর্মী খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থানের পাশে সদর উপজেলার দিঘলকান্দি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই এলাকার করতোয়া নদীর পাশের একটি লিচু বাগান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
Advertisement
নিহত আপেল মাহমুদ বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। তার বড় ভাই আল মামুন (৩৮) গোকুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। গোকুলের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানের সহযোগী সনি হত্যা মামলার আসামি মামুন। বিএনপি কর্মী সনি হত্যার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, আপেল ও তার বড় ভাই মামুন ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতো। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে তারা মহাস্থানে আসেন। এ সময় তাদেরকে ফোনে চন্ডিহারা ডেকে নেয়া হয়। সেখানেই প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই ভাই ভাইয়ের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই আপেল মাহমুদ নিহত হন আর আল মামুন গুরুত্বর আহত ন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্থানীয় লোকজন মামুনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গোকুল হল বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা একাধিক মামলার আসামি মিজানের সহযোগী সনি খুন হয়। সনি হত্যা মামলার আসামি মামুন। গত ২১ অক্টোবর মামুন আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে শহরের আটাপড়া এলাকায় তার ওপর হামলার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
Advertisement
বগুড়ার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ মন্ডল জানান, আহত মামুনের দুই হাতের কবজির প্রায় ৯০ শতাংশ সন্ত্রাসীরা কেটে ফেলেছে। কোনো মতে তার হাতের সঙ্গে চামড়াসহ হাতটি লেগে আছে। তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক ভাইকে হত্যা করেছে এবং অপর ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই বিএনপি কর্মী খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।
আরএআর/জেআইএম
Advertisement