সন্দ্বীপে প্রতিদিন সকালে বসে খাঁটি গরুর দুধের বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় গোয়ালেদের। গরুর খামার এবং গৃহপালিত গরু-মহিষ থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন তারা। প্রতি কেজি গরুর দুধ বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকায়।
Advertisement
জানা যায়, খাঁটি দুধের এ বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও লক্ষণীয়। সন্দ্বীপের শিবেরহাট, ধোপারহাট, আলীমিয়া বাজার, চৌধুরী বাজার, গুপ্তছড়া বাজার, সেনেরহাট, তালতলী বাজার, চৌমুহনী বাজার, আকবর হাটে সকালে এ দুধ পাওয়া যায়। পণ্ডিতের হাটে বিকেলেও পাওয়া যায়। সন্দ্বীপের অধিকাংশ বাড়িতেই দু-তিনটি করে গরু পালন করা হয়। ফলে দুধের বিশাল ঘাটতি পূরণে সহায়তা হচ্ছে। সন্দ্বীপের বিয়ে-শাদিতে দইয়ের রেওয়াজ বহুদিনের পুরোনো। প্রতিদিন পাইকারিভাবে দুধ কিনে দইয়ের ঘাটতি পূরণ করেন ব্যবসায়ীরা।
গরুর খাঁটি দুধ হাত ও দল বদল হয়ে শহরে গিয়ে খাঁটি থাকে না। সন্দ্বীপের বাজারগুলো হচ্ছে খাঁটি দুধের বাজার। দুধের হাটে গিয়ে দেখা যায়, বোতল কিংবা জগে ভর্তি দুধ সাজিয়ে বসে আছেন অনেকে। ক্রেতারা এসে পরিমাণমতো দুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ধোপারহাট বাজারে ফোরকান উদ্দিন নামে একজন দুধ কিনতে এসেছিলেন। তিনি জানান, তার নাতির জন্য প্রতিদিন দুধ লাগে। এখানে দাম একটু বেশি হলেও দুধ ভেজালমুক্ত। তাই তিনি এখান থেকেই কিনে নেন।
Advertisement
দুধ বিক্রতা মো. বেলাল বলেন, ‘আগে ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম। এখন খুচরাসহ বিভিন্ন হোটেলে পাইকারি দরে দুধ বিক্রি করি। হোটেল মালিকরা দুধ দিয়ে দই, রসগোল্লা, সন্দেশসহ বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি করেন। আমার চারটি গাভি রয়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ কেজি দুধ দেয়। তবে ভুষির দাম বেশি হওয়ায় খরচ একটু বেশি।’
সন্দ্বীপের এই দুধ আসলে খাঁটি কি-না, তা জানার কোনো উপায় নেই। ফলে স্যানেটারি কার্যক্রম না থাকার অভিযোগ অনেকের। যে কারণে দুধ কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। এ ব্যাপারে পল্লীচিকিৎসক ডা. নুরুল আনোয়ার হিরন বলেন, ‘বর্তমানে চারদিকে ভেজালের ছড়াছড়ি। মাঝে মাঝে দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।’
এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement