দুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট। যাতে লেখা ছিল ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’। পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলেরও নজরে আসে বিষয়টি। তারপর থেকেই মোটরসাইকেলটির সন্ধানে নামে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। অবশেষে পাওয়া গেল সেই মোটরসাইকেল ও তার মালিককে।
Advertisement
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান জুয়েল তাকে শনাক্ত করে আটকে দেন। আবির নামে ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান তার মোটরসাইকেলের পেছনের নম্বরপ্লেটে ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’ লেখার কারণ। দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন তার সাথে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সার্জেন্ট জুয়েল জাগো নিউজকে বলেন, আবির নামে ওই ব্যক্তি চাকরি করেন। আমি তাকে আটকে তার মোটরসাইকেলের পেছনে লেমিনেটিং করা কাগজটি দেখতে পাই। তার কাছে এর কারণ জানতে চাই। উত্তরে তিনি বলেন, ইমরান তার একজন খুব ভালো বন্ধু। তিনি (ইমরান) তাকে মোটরসাইকেল কেনা থেকে শুরু করে তা চালানো পর্যন্ত শিখিয়েছেন। তাই বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই তিনি নম্বরপ্লেটটি লাগিয়েছেন।
সার্জেন্ট জুয়েল বলেন, মোটরযানে নম্বরপ্লেটের স্থানে নম্বর ছাড়া কোনো অংকন, নাম লেখা, খোদাই করা, ঘষামাজা করা, অ্যাড দেয়া আইনে নিষিদ্ধ। মোটরযান আইনের ২০১৮ এর ৯২ (২) ধারায় এ অপরাধের জন্য ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে আবিরের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স, ইন্স্যুরেন্সসহ সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। নম্বরপ্লেটে ওই লেখার জন্য তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং অনুতপ্ত হয়েছেন। তাই তাকে কোনো মামলা দেয়া হয়নি।
Advertisement
নম্বরপ্লেটে ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’ লেখা মোটরসাইকেলটির ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে এটাকে মোটরসাইকেল চালকের দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল বললেও কেউ কেউ বিষয়টিকে রাজনৈতিক পরিচয় দেখানোর মতোই ‘স্টান্ট’ বলে উল্লেখ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালক ভুল স্বীকার করে অনুতপ্ত হওয়ায় বিষয়টির এখানেই শেষ ঘটবে বলে আশা ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের।
এআর/এইচএ/এমকেএইচ