জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডের করোনাভাইরাস আক্রান্ত দুই যাত্রী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএইচকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Advertisement
জাহাজটি গত ৩ ফেব্রুয়ারি বন্দরে নোঙ্গরের পর থেকেই কোয়ারেন্টাইনে ছিল। এর ৩ হাজার ৭০০ আরোহীর মধ্যে এ পর্যন্ত অন্তত ৬২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাতে এনএইচকে জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৮৭ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৮৪ বছর বয়সী এক নারী রয়েছেন। তারা দু’জনেই জাপানি নাগরিক। গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দু’জনকে প্রমোদতরী থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জাহাজটির আরও পাঁচ শতাধিক যাত্রীকে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এদিন বিশেষ ফ্লাইটে নিজ দেশে ফেরত যাচ্ছেন আরও ১০০ বিদেশী যাত্রী। এর আগে, বুধবার শারীরিক পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি এবং কোনও লক্ষণ নেই- এমন একদল যাত্রীকে ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে নামিয়ে আনা হয়। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে থাকা যাত্রী ও ক্রুদের এখনও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
Advertisement
জাহাজে আর কতজন যাত্রী রয়েছেন এবং তাদের নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া কখন শেষ হবে তা নিশ্চিত করেনি জাপান কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ প্রমোদতরীটির দেড় শতাধিক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ইতোমধ্যে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। ফিরেছেন হংকংয়ের যাত্রীরাও। শুক্রবার পৃথক ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন কানাডা ও ব্রিটেনের যাত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্রের তিন শতাধিক যাত্রী দেশে ফিরলেও এখনও অন্তত ৪৫ মার্কিন নাগরিক জাহাজটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
জাপানে প্রমোদতরীর যাত্রীসহ এ পর্যন্ত ৭০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, মারা গেছেন তিনজন।
বুধবার করোনাভাইরাসের উৎস চীনে মারা গেছেন আরও ১০৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১২ জন। এছাড়া, চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। এর মধ্যে জাপান ছাড়া ইরান-হংকংয়ে দু’জন করে এবং তাইওয়ান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৬২ জন।
Advertisement
সূত্র: এনএইচকে, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
কেএএ/এমএস