আন্তর্জাতিক

কতটা মারাত্মক করোনাভাইরাস?

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনের সর্বত্র এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেইসঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের হার।

Advertisement

এখন পর্যন্ত চীনে এ রোগে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ।

মঙ্গলবার চীনে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৪৯ জন।

তবে এ রোগের মৃতের হার নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছে চীন।

Advertisement

চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ২.৩ শতাংশ। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি। তবে সার্স (৯.৬%) এবং মার্স (৩৫%) আক্রান্তের চেয়ে অনেক কম।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, প্রাথমিক সংখ্যা দ্বারা পুরো ঘটনা আঁচ করা নাও যেতে পারে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর চীনের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে।

এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০৪ জন। চীনের বাইরে হংকংয়ে দুইজন, তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স এবং ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন।

Advertisement

এছাড়া চীনে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭৪ হাজার ১৮৫ জন এবং চীনের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক হাজার ১১ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে।

এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

বিএ