প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের মূল ভূখণ্ড অতিক্রম করে ৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার পেরিয়েছে। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯০৭ জন। সবমিলিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার পাঁচজনের এবং মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজারের বেশি।
Advertisement
তাই স্বাভাবিক কারণেই জলে, স্থলে এমনকি আকাশপথেও এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে যে কতটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা একটি ভিডিও দেখলেই বোঝা যাবে। ভিডিওটি একটি ফ্লাইটে ধারণ করা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিমানে দুই যাত্রীর শরীর আপাদমস্তক ঢাকা। একজনের শরীর প্লাস্টিকের পাতলা আবরণে মোড়ানো। তার পাশে যিনি বসা তিনিও নিজেকে আপাদমস্তক ঢেকে রেখেছেন একটি গোলাপি রঙের প্রতিরোধক স্যুট দিয়ে। তাদের উভয়েরই মুখে মাস্ক লাগানো, হাতে গ্লাভস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান একটি ফ্লাইটে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে হ্যামিলটন দ্বীপগামী ফ্লাইটটিতে এই দৃশ্য ধারণ করেন এক যাত্রী। তিনি ওই দুই যাত্রীর সামনে বসেছিলেন।
Advertisement
ভিডিওটি শেয়ার করে ওই নারী যাত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বিমানে ঠিক এখন আমার পেছনে বসা। যখন (আপনি) করোনাভাইরাস নিয়ে খুবই আতঙ্কিত।’
এ পর্যন্ত ১৫ জন ব্যক্তিকে করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, এদের সবাই-ই কোনো না কোনোভাবে উহান (করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল) থেকে এই ভাইরাসের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বহনকারী। আক্রান্তদের পাঁচজন কুইন্সল্যান্ডের। ডেইলি মেইলের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইটটি সেখানেই যাচ্ছিল।
চীনে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পর অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াও নির্দেশ জারি করেছে, যারা সর্বশেষ ১৪ দিন চীনা মূল ভুখণ্ডে কাটিয়ে এসেছেন, তারা অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারবে না। তবে তাদের কেউ যদি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হয়, তাহলে তাদের প্রবেশের শর্ত হলো তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
শুধু আকাশপথেই নয়, অস্ট্রেলিয়ার শপিং মল, দোকান ও রেস্তোরাঁগুলোতে নাগরিকদের খুবই সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। মেলবোর্নের কিছু দোকানপাটের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তাতে আশ্বস্ত করা হচ্ছে এই বলে যে, তাদের আঙ্গিনা জীবাণুমুক্ত।
Advertisement
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সুস্থ লোকদের মাস্ক পরার দরকার নেই। তারপরও করোনা আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে মাস্কের।
হু বলছে, যাদের হাঁচি বা কাশি রয়েছে বা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন, শুধু তাদেরই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
এসআর/পিআর