একথা সত্যি যে, মন আমাদের কথা শুনে চলে না সব সময়। তাইতো না চাইলেও মন খারাপ হয়। কিছুই আর ভালোলাগে না তখন। কাউকে সহ্য হয় না। কারও সঙ্গে কথা বলতে ভালোলাগে না। এমন আরও অনেক ভালো না লাগার সমন্বয় এই মন খারাপ। সঠিক কোনো কারণ জানা না থাকলেও, এই মন খারাপের পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কোনো ব্যাখ্যা আছে নিশ্চয়ই।
Advertisement
মন খারাপ হতেই পারে। কেন হলো, কী কারণে হলো এসব ভেবে সময় নষ্ট করলে মন খারাপ আরও গভীর হতে পারে। তার থেকে বরং মন ভালো করার চেষ্টা করুন। জেনে নিন সহজ ৭ উপায়-
হাসির সিনেমা দেখুন: যেসব ভাষা বুঝতে পারেন, তার মধ্য থেকে যেকোনো একটি কমেডি সিনেমা দেখতে বসে যান। এক বাটি পপকর্ন, চানাচুর, চিপস নিয়ে বসুন আর কাটিয়ে ফেলুন মন খারাপ। সিনেমা শেষ হওয়ার আগেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে, নিশ্চিত!
হেঁটে আসুন: হাঁটলে যে শুধু শরীর ভালো থাকে তাই নয়, ভালো থাকে মনও। কিন্তু মানুষের ভিড়ে নয়, একটু নির্জন কোনো রাস্তায় হাঁটুন। বুক ভরে শ্বাস নিন, নিজেকে নিয়ে ভাবুন। আস্তে আস্তে মন খারাপ ভাবটা কেটে যাবে অনেকটাই।
Advertisement
গরম কোনো পানীয়: গরম পানীয়র মধ্যে যা খেতে ভালোবাসেন, তাই খান। হতে পারে তা চা, কফি কিংবা হট চকোলেট। তবে চকোলেটের রয়েছে মুড আপলিফটিং প্রপার্টিজ, সেজন্য চকোলেট খেলে তাড়াতাড়ি মন ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলুন: হতে পারে তিনি আপনার মা কিংবা বাবা, হতে পারে প্রিয় কোনো বন্ধু। শুধু এমন একজন দরকার যিনি আপনার কথা মন দিয়ে শুনবেন। আপনার কষ্টটা বুঝতে পারবেন। এমন কাউকে খুঁজে নিয়ে ফোন করে অথবা দেখা করে তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন।
গোসল করুন সময় নিয়ে: ভাবছেন, এ আবার কেমন কথা? সত্যি, সময় নিয়ে গোসল করতে পারলে মন ভালো হবে অনেকটাই। বালতিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানিতে ভালো করে গোসল করুন। তরতাজা লাগবে নিজেকে। সেইসঙ্গে দূর হবে মন খারাপও।
ঘর গোছাতে পারেন: এটা ঠিক যে, ব্যস্ত থাকলে মন খারাপ তেমন সুবিধা করতে পারে না। তাই যেকোনো একটি কাজে মন দিন। তবে মন ভালো না থাকলে কঠিন কোনো কাজে মন দেয়া সম্ভব নয়। তাই হালকা কোনো কাজ করুন। গোছাতে পারেন নিজের প্রিয় ঘর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরদোর দেখে মন ভালো হবে সহজেই।
Advertisement
গান শুনুন: মন ভালো করতে বেশ কাজ করে মিউজিক থেরাপি। তাই নিজের পছন্দের প্লেলিস্টটি অন করে চোখ বুজে শুয়ে থাকুন। মন ভালো হয়ে যাবে।
এইচএন/এমএস