সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ বাংলাদেশির চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
Advertisement
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টায় ড. মোমেনের কাছে ফোন করেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় ভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ কে মোমেন ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানকে বলেছেন, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। তাদের চিকিৎসার ওপর বাংলাদেশের আস্থা রয়েছে।
সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ জন। এদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি ওই প্রবাসী সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এর একদিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি সেলেটার অ্যারোস্পেস হেইটসের নির্মাণাধীন স্থাপনায় কর্মরত আরও এক বাংলাদেশির শরীরে করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।
Advertisement
পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩৭ ও ৩০ বছর বয়সী আরও দুই বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানায় সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পাসধারী এ দুই বাংলাদেশিও সেলেটার অ্যারোস্পেসে কর্মরত ছিলেন।
সবশেষ গত শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ২৬ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশি। এর আগে সিঙ্গাপুরে যে চার বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; তাদের সঙ্গে একই জায়গায় কাজ করতেন তিনি।
গত ৩১ ডিসেম্বর সংক্রমণ শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার চীনে করোনা-আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন ১৩৬ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৪৯ জন। এ নিয়ে দেশটির মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪ জন। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৪ হাজার ১৮৫ জন।
এদিন হুবেই প্রদেশে নতুন করে আরও ১ হাজার ৬৯৩ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ১৩২ জন। একই দিন ভাইরাসমুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। করোনাভাইরাসের উৎস উহানে গতকাল নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬০ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১১৬ জন।
Advertisement
সরকারি তথ্যমতে, হুবেই প্রদেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৬১ হাজার ৬৮২ জন আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৯ হাজার ১০০ জন। চিকিৎসাধীন ১১ হাজার ২০০ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
কেএএ/জেআইএম