ঘড়ির কাঁটা তখনো দুপুর ১২টা স্পর্শ করেনি। শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে টানা মিনিট পনেরো একটানা বোলিং অনুশীলন করলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরপর মাঠের দক্ষিণ দিকে মিনি ড্রেসিং রুমের পাশে আরেক কক্ষে গিয়ে বসলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর অল্প কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে কিছুক্ষণ গল্পও করলেন।
Advertisement
খুব বড় না হলেও সাংবাদিকদের একটা বহর দেশের ক্রিকেটের সফলতম ওয়ানডে ক্যাপ্টেন ও সেরা মিডিয়াম পেসারের সেই বোলিং প্র্যাকটিস চোখের সামনেই দেখলেন। এরপর সময় যত গড়ালো, ততই বিসিবি একাডেমি মাঠে সাংবাদিকদের আনাগোনা বাড়ল।
লক্ষ্য একটাই, টাইগারদের প্র্যাকটিস কভার করা। বিসিবির দেয়া প্র্যাকটিস সিডিউলে পরিস্কার বলা ছিল, ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের আগে চার দিনের মিনি অনুশীলন ক্যাম্প শুরু মুমিনুল হক বাহিনীর।
সময় বেলা দেড়টা থেকে বিকেল ৪.৩০টা। ভেন্যু শেরে বাংলায় বিসিবি একাডেমি মাঠ; কিন্তু দুপুর সোয়া একটা বাজার পরও একাডেমি মাঠে জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারের দেখাও মিললো না।
Advertisement
পরে জানা গেল, নাহ একাডেমি মাঠে নয়। অনুশীলন হবে শেরে বাংলার পূর্ব দিকের ইনডোরে। সেখানেই ঘণ্টা দুয়েকের ব্যাটিং-বোলিং সেশন হলো। তবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টের জন্য যে ১৬ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দলের অর্ধেক ক্রিকেটারই উপস্থিত ছিলেন কেবল আজ প্রথম দিন।
ইনডোরে বোলিং মেশিন আর খোলা আকাশের ন্যাচারাল টার্ফে ব্যাটিং ও বোলিং প্র্যাকটিস করলেন তামিম, মুমিনুল, লিটন, মিঠুন, তাইজুল, ইবাদত, আবু জায়েদ রাহী ও তাসকিন।
অন্যদিকে আগের চারদিন টানা বিসিএল খেলা সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (নট আউট ২৫৩), মুশফিকুর রহীম (১৪০ ও ৩৮) মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাঈম হাসান (৮/১০৭ ও ৫/৯৮) ও ইয়াসির আলী (১১০ ও ১৬৫) ছিলেন বিশ্রামে। তারা আগামীকাল বুধবার যোগ দেবেন অনুশীলনে। তার মানে সত্যিকার প্র্যাকটিস সেশনটা জমে উঠবে কাল দ্বিতীয়দিন থেকে।
এদিকে জিম্বাবুয়ের মত দুর্বল, কমজোরি দলের বিপক্ষে একাডেমি মাঠের খোলা আকাশের নিচে মাত্র ৭/৮ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলনের শেষে উইকেটরক্ষক লিটন দাস আর মুমিনুল হককে নিয়ে শেরে বাংলার ভিতরে স্লিপ ও উইকেটরক্ষকের ক্যাচিং প্র্যাকটিস করালেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো নিজে।
Advertisement
হঠাৎ ইনডোরের বদ্ধ জায়গায় কেন কি কারণে এই নিবিঢ় ও গোপন প্র্যাকটিস সেশন? তার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা মেলেনি। তবে যথেষ্ঠ সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। এমনকি অনুশীলন চলাকালীন শেরে বাংলার আউটফিল্ডেও প্রবেশাধিকার ছিল না সাংবাদিকদের। সারা বছর মাঠে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ও অন্যসব ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড কাভার করা দুই সিনিয়র ফটো সাংবাদিকের মাঠে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে এক পশলা ঝগড়াও হয়ে গিয়েছিলো।
এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ