জাতীয়

কারাগারে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা : রেড অ্যালার্ট জারি

বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশের কারাগারগুলোতে বিশেষ সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করা হয়েছে। সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে কারাগারের ভেতরে যেন কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তাই এই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কারা অধিদফতর রেড অ্যালার্ট সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের কারাগারগুলোতে পৌঁছে দেয়। চিঠি পেয়েই দেশের কারাগারগুলোর অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন জেল সুপাররা।গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার ও শনিবার (৩ অক্টোবর) রংপুরে জাপানের কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনার প্রেক্ষিতে কারাগারের ভেতর যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা ষড়যন্ত্রের ঘটনা না ঘটে তাই এই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।ঢাকার ছয়টিসহ মোট ১২টি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ৫৭টি জেলা কারাগারে এই আদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার (পার্ট ১) এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইতালিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারা অধিদফতর হয়ে আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠির তথ্য ও নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা চলছে। জেলখানার ভেতরে যাতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র না হয় আমরা তা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’রেড অ্যালার্টের কারণে দেশের কারাগারগুলোর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ চলবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী জেল সুপার নেসার আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে সমসময়ই ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে। তবে বিদেশি নাগরিক হত্যার পর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বাড়ানো হয়েছে।’ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন জেলার জাগো নিউজকে জানান, সম্প্রতি কারাগারে নিরাপত্তা ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। আসামি আনা-নেয়ার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা নেয়া হয়েছে।এআর/এসকেডি/বিএ

Advertisement