ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন-আল আসাদে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিশ্বব্যাপী ওয়াশিংটনের সমীকরণ এলোমেলো হয়ে গেছে। ইরাকি নিউজ চ্যানেল আল-মায়াদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, এই অভিযান ইরানের চূড়ান্ত কোনো কৌশলগত জবাব ছিল না, বরং এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল মার্কিন অপরাধযজ্ঞের জবাবে প্রতিক্রিয়ার সূচনামাত্র।
সাক্ষাৎকারে জেনারেল সালামি আরও বলেন, আমেরিকা কোনো দেশে হামলা করলে পাল্টা হামলার কথা চিন্তাও করতো না। কিন্তু ইরানের জবাবে ওয়াশিংটন এখন তাদের হিসেব-নিকেশের সমীকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে।
গত ৩ জানুয়ারি আইআরজিসি’র কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে বাগদাদের একটি বিমানবন্দরে পৌঁছালে মার্কিন সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাত বরণ করেন। ইরাকের সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহাদি আল মুহান্দিসসহ আরও ৮ জন ওই সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন।
Advertisement
জবাবে ইরাকের আনবার প্রদেশের মার্কিন ঘাঁটি আইন-আল-আসাদে ইরান ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইরানের ওই পাল্টা হামলায় মার্কিন ঘাঁটি তছনছ হয়ে যায়।
জেনারেল সালামি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান মাত্র একটি সুনির্দিষ্ট পয়েন্টে হামলা চালিয়েছে, অথচ ওই হামলার প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। ইরানের পক্ষ থেকে মার্কিন অপরাধযজ্ঞের কৌশলগত জবাব সেদিন শেষ হবে যেদিন সর্বশেষ মার্কিন সেনা সদস্যটি পশ্চিম এশিয়া ছেড়ে যাবে।
ইসরাইলের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জেনারেল সালামি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত প্রতিটি পয়েন্ট ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ইসরাইল আমেরিকার তুলনায় নগণ্য এবং অনেক বেশি অক্ষম বলে মন্তব্য করেন জেনারেল সালামি। পার্সটুডে
এমআরএম
Advertisement