করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
Advertisement
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’-এ তিনি এ কথা জানান।
লি জিমিং জানান, বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করা আট হাজার কর্মী/কর্মকর্তাসহ এ মুহূর্তে মোট ১০ হাজারের মতো চীনা নাগরিক বাংলাদেশে আছেন। এদের মধ্যে এক হাজার নতুন বছরের ছুটি কাটাতে চীন গেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত তাদের বাংলাদেশে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ছুটিতে যাওয়া চীনা নাগরিকদের সংখ্যা কম হলেও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত। তারা ফেরত না আসার কারণে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে।
Advertisement
চীনে বর্তমানে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে? জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমার জানা মতে, শুধু কুনমিংয়ে ২০ হাজারের মতো বাংলাদেশি আছেন। এছাড়া বেইজিংসহ অন্যান্য জায়গায়ও আরও বাংলাদেশি রয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের কী করা উচিত? জবাবে লি জিমিং বলেন, ‘চীনা দূতাবাসের একজন কর্মী ১৪ দিন আগে ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে আলাদা করে ফেলি। ওই কর্মকর্তা গতকাল (রোববার) কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের (যারা বিদেশ থেকে ঢাকায় আসেন) সবার ক্ষেত্রে এটা করা হয় না।’ তিনি এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত ২৮টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুধু চীনেই ৭০ হাজার ৫৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। তবে সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
জেপি/এফআর/এমকেএইচ