বিনোদন

নায়ক মান্নাকে হারানোর এক যুগ আজ

ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৮৪ সালে। কিন্তু একক নায়ক হিসেবে তার উত্থান বা জনপ্রিয়তা ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কাশেম মালার প্রেম’ ছবি দিয়ে। তবে নায়ক মান্নার রাজত্ব শুরু হয় নব্বই দশকের শেষদিকে।

Advertisement

শক্তিশালী কণ্ঠ, সাবলীল অভিনয়, বিপ্লবী সব চরিত্র দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের নায়ক। ২০০৮ সালে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ঢালিউডের রাজত্ব বজায় ছিল তার।

আজ এই চিত্রনায়কের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় থাকাকালীন আকস্মিকভাবে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মান্না।

জানা গেছে, দিনটির স্মরণে আজ মান্না ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেলী মান্নার নেতৃত্বে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। রাজধানীর উত্তরার বাসায় মান্নার জন্য কোরআন খতম ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Advertisement

১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। ওই বছরই তার প্রথম অভিনীত ছবি ‘তওবা’ মুক্তি পায়। মান্না প্রায় সাড়ে তিনশ ছবিতে অভিনয় করেছেন।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- ‘সিপাহী’, ‘যন্ত্রণা’, ‘অমর’, ‘পাগলী’, ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাশ’, ‘জনতার বাদশা’, ‘লাল বাদশা’, ‘আম্মাজান’, ‘দেশ দরদী’, ‘অন্ধ আইন’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘অবুঝ শিশু’, সিটি টেরর, ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘মা-বাবার স্বপ্ন’, ‘হৃদয় থেকে পাওয়া’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘বড় লোকের জামাই’ ইত্যাদি। তিনি ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

মান্না শুধু জনপ্রিয় চলচিত্র অভিনেতাই ছিলেন না, ছিলেন একজন সফল চলচ্চিত্র প্রযোজকও। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম কৃতাঞ্জলি চলচ্চিত্র। তার প্রযোজিত প্রতিটি সিনেমাই ব্যবসা সফল। ছবিগুলো হলো- লুটতরাজ , লাল বাদশা, আব্বাজান, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধূ এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই ও পিতা মাতার আমানত। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। তার আসল নাম এস এম আসলাম তালুকদার।

Advertisement

এলএ/এমএসএইচ