পাবনার ঈশ্বরদীতে সরকারি ও বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিদেশি নাগরিক এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ধর্ম যাজকদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল মাহমুদ। সভায় পাকশীতে পুলিশের এএসআই সুজাউল ইসলাম হত্যা ও ঈশ্বরদী শহরে খ্রিস্টান মিশনের ফাদার লুই সরকারকে হত্যার প্রচেষ্টার ঘটনায় কয়েকজন বক্তা নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানান। ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাস (ওসি) জানান, এখানে মোট ১১৬ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে, ধর্মযাজক হত্যা চেষ্টা ও পুলিশের এএসআই সুজাউল ইসলাম খুনের ব্যাপারে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এতে র্যাব, সিআইডি, জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা রয়েছেন। এই টিম বুধবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদীর দুইটি ঘটনার জায়গা পরিদর্শন করেন। উল্লেখিত ঘটনা দুটির আসামি গ্রেফতারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। গত ৫ অক্টোবর রাতে ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া থেকে ওবায়দুল ইসলাম নামে এক শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও গির্জার ফাদারকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি। সভায় ঈশ্বরদীর ৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী এবিএম কামরুজ্জামান, পাকশী নর্থবেঙ্গল পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম মহিউদ্দিন, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাস, ঈশ্বরদী ইপিজেডের সহকারী সচিব মমিন উদ্দিন প্রমুখ। আলাউদ্দিন আহমেদ/এআরএ/পিআর
Advertisement