মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রয়াত গোলাম আযমের আর জামালপুরের রাজাকারের মামলার স্ট্যাটাস এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এই মন্তব্য করেন।মামলায় জামালপুরের ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় অপরাধের স্ট্যাটাস নিয়ে ওই বিচারক এ কথা বলেন।মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল এবং তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। মামলায় ১নং অভিযোগ শুনানিতে তাপস কান্তি একাত্তরের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামালপুরের শান্তি কমিটি দ্বারা ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলেন জানান। কিন্তু কোথায়, কখন এই ১০ হাজার মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে (ধারাবাহিকভাবে) কেন উল্লেখ নেই সে বিষয়টি তাপস কান্তির কাছে জানতে চান ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।এ সময় প্রসিকিউটর তাপস যুক্তি তুলে ধরে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যেমন জামায়াতের সাবেক প্রয়াত আমীর গোলাম আযমকে দণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।ঠিক তেমনি জামালপুরে শান্তি কমিটি গঠন করার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বলে অভিযোগে বিষয়টি হুবহু তুলে ধরা হয়নি।পাশাপাশি জামালপুরের মামলাটিতে কেস রেফারেন্স হিসেবে গোলাম আযমের মামলাটিও উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর তাপস। প্রসিকিউটর তার যুক্তিতে আদালতকে বলেন, জামালপুরে যদি তখন শান্তি কমিটি গঠন না হতো তাহলে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটতো না। তাই নেতৃত্ব দেবার অভিযোগে এই মামলার আসামিরা ওই ১০ হাজার মানুষকে হত্যার দায়ভার বহন করবে বলেও তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন।এসময় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি প্রসিকিউটর তাপসের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘গোলাম আযমের মামলার এই মামলার স্ট্যাটাস এক নয়।’মামলার ১নং অভিযোগে ১০ হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আবার কেন ৫নং অভিযোগে একই হত্যার ঘটনা আলাদাভাবে রয়েছে এই নিয়েও প্রসিকিউটরের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে।তবে মামলা পরিচালনার সময় কোনো বিষয় বস্তু না বুঝলে অন্যের (অন্যান্য বিজ্ঞ প্রসিকিউটরদের) সাহায্য নিতে তাপসকে পরামর্শ দেন ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।এফএইচ/জেডএইচ/পিআর
Advertisement