জমজমের পানি আনতে না দেয়ায় হাজিদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স। হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিনই হাজিরা বিষয়টি নিয়ে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন সৌদি এয়ারলাইন্স কর্মীদের সঙ্গে। হাজিদের অভিযোগ, জেদ্দা এয়ারপোর্টে বাংলাদেশি হাজিদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করছে সৌদি নাগরিকরা। বিশেষ প্রয়োজনে পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। জেদ্দা থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৫২২২ ফ্লাইটে ঢাকা এসেছেন বগুড়ার জয়নাল আবেদিন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, জেদ্দায় সৌদি এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে বাংলাদেশিদের কোনো সম্মান দেখানো হয়নি। চুক্তি হয় নাই এমন যুক্তি দেখিয়ে জমজমের পানি আনতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি যাত্রীদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে জমজমের পবিত্র পানি। পৃথিবীর অন্যকোনো দেশের হাজি বা যাত্রীদের সাথে এমন আচারণ করা হয় নাই বলে দাবি করেন তিনি।এ বিষয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার সাদিয়া মোরশেদ জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর হজ মিশন ও হাবের সাথে চুক্তি না থাকায় আগের মতো ঢালাও ভাবে জমজমের পানি আনার সুযোগ দেওয়া যায়নি। তবে ৫ লিটার করে জমজমের পানি যারা জেদ্দা এয়ারপোর্টে নিয়ে এসেছে তাদের পানি আনতে অসুবিধা হয়নি।তিনি বলেন, ফ্লাইটের ধারণ ক্ষমতা বিবেচনা করে হাজিদের বাড়তি চাহিদা পূরণ করা আসলেই কঠিন। হাজিরা জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লিটার জমজমের পানি নিয়ে আসতে চান। জেদ্দা এয়ারপোর্টে এসব নিয়ে বিপত্তি ঘটছে।সাদিয়া মোরশেদ আরো বলেন, জমজমের পানির বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সার্বিক ভাবে সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রী সেবার মান খুবই ভালো। জেদ্দা-ঢাকা রুটের কোনো যাত্রী এ পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে, সৌদি এয়ারলাইন্স বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত কার্যকর ব্যাবস্থা নেবে।আরএম/এসকেডি/পিআর
Advertisement