চীনে করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ নামক প্রাণঘাতী রোগে দেশটির চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। শুক্রবার দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চীনে ছয়জন চিকিৎসাসেবা কর্মীর মৃত্যু ছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭১৬ জন।
Advertisement
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা কর্মীদের জন্য যথেষ্ট সুরক্ষিত পোশাক-পরিচ্ছদের ঘাটতির কারণে সৃষ্ট উদ্বেগের মধ্যে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহানের চিকিৎসক লি কর্তৃপক্ষকে নতুন এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে নিজেই বিপদে পড়েন। গত সপ্তাহে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চীনের মানুষ ক্ষুব্ধ।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের সহকারী মন্ত্রী জেং ইশিন বলেন, ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ১ হাজার ১০২ জন চিকিৎসাকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য এলাকায় আরও ৪০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। চিকিৎসা কর্মীদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছেই।
চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষায় ব্যবহৃত রেসপিরেটরি মাস্ক, চশমা এবং সুরক্ষিত পোশাক সরবরাহের ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। এক চিকিৎসক বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, তিনিসহ তার আরও ১৬ জন সহকর্মীরে শরীরে ভাইরাসটির সম্ভাব্য উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে।
Advertisement
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার নতুন করে ১২২ জনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ১৩৮১। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের এই ভাইরাসকে গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি অভিহিত করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত তিনজন মানুষ মারা গেছে। এদিকের জাপানে নোঙ্গর করে রাখা একটি প্রমোদতরীতে নতুন করে আরও ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওই প্রমোদতরীতে করোনাআক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। এসএ/পিআর