মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার মো. আব্দুল কুদ্দুসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে হাসপাতালে নেয়ার জন্যও বলেছে আদালত। এ মামলার শুনানির জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।বুধবার সকালে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেত্বত্বে তিন সদস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দেন।অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমামাম।সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি। অপরদিকে আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ও আকব্দুস সাত্তার পালোয়ান।এর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল কুদ্দুসকে বুধবার সকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।এ মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পাঁচ আসামরি মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে গ্রেফতার করা যায়নি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ আনা হয়।এ বিষয়ে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে আাদলতে হাজির করা হয়। তিনি অসুস্থ থাকায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ’অপরদিকে আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’ তাই জামিন আবেদন করেছি কিন্তু আদালত গ্রেফতার দেখিয়ে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছে।’আসামিদের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ: পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনা হত্যা-গণহত্যার তিনটি অভিযোগের সবগুলোতেই আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর জড়িত ছিলেন বলা হয়েছে। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবদীন দু’টি করে এবং মো. আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।এফএইচ/জেডএইচ/আরআইপি
Advertisement