জাতীয়

সিঙ্গাপুরের যাত্রীদের আলাদা ইমিগ্রেশন শাহজালালে

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনের মতো সিঙ্গাপুরের যাত্রীদেরও পৃথক ইমিগ্রেশন ও স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে দুজন বাংলাদেশি নাগরিকের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই নজরদারি বাড়ানো হয়।

সূত্র জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ফ্লাইটের যাত্রীর স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করা হলেও সিঙ্গাপুরফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রে পৃথক লাইনে দাঁড় করিয়ে ইমিগ্রেশন ও স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানবন্দরে চীনফেরত যাত্রীদের মতো সিঙ্গাপুরের যাত্রীদেরও পৃথক লাইনে দাঁড় করিয়ে ইমিগ্রেশন ও স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

Advertisement

গত ২১ আগস্ট থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আকাশ, স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৩ যাত্রীর স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। বিদেশফেরত মোট যাত্রীর মধ্যে ৪৯ হাজার ১১০ জনই শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছেন।

প্রথমদিকে শুধু চীনের চারটি ফ্লাইটের যাত্রীদের (চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ড্রাগন এয়ার ও ইউএস বাংলা) স্ক্রিনিং করা হয়। এখন সব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং হচ্ছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, চীনা নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় চীন থেকে আগত যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। বিশেষ করে চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্নের যাত্রী কম হওয়ায় সংস্থা দুটি সাপ্তাহিক ৪টির বদলে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইট আসছে।

এমইউ/জেডএ/জেআইএম

Advertisement