আন্তর্জাতিক

চীন থেকে পালিয়ে লন্ডনে করোনা আক্রান্ত নারী

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে প্রথম কোনো ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে। চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই নারী লন্ডনে পাড়ি জমান। তাকে দক্ষিণ লন্ডনের (বাম) গাই’স এবং সেন্ট থমাস হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ইংল্যান্ডে আরও একজন উহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই নারী চীনে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। তাকে গাই’স এবং সেন্ট থমাস হাসপাতালের এনএইচএস সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। এরপর থেকে চীনে মহামারি আকার ধারণ করে এই ভাইরাস।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন মঙ্গলবারের হিসাব দিয়েছে বুধবার। তাতে তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১১৩ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। ভাইরাসটি চীনের ৩১ প্রাদেশিক পর্যায়ের অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে।

Advertisement

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউিএইচও) প্রধান। তিনি বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যেন সবাই ভাইরাসটির নমুনা ভাগাভাগির মাধ্যমে ওষুধ কিংবা এর টিকা তৈরির গবেষণাকে ত্বরান্বিত করে।

চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক প্রমোদতরীতে। বিলাসবহুল ওই নৌযান ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে এখন কোয়ারেন্টাইনে। বুধবার পর্যন্ত সেখানে থাকা ১৭৫ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসজনিত এই রোগের নামকরণ করেছে কোভিড-১৯। করোনার প্রথম দুই অক্ষর (CO), ভাইরাসের প্রথম দুই অক্ষর (VI), ডিজিজের (রোগ) প্রথম অক্ষর ডি (D) এবং ২০১৯ সালে ভাইরাসটির উৎপত্তি হওয়ায় তাতে ১৯ যোগ করেই কোভিড-১৯ নামকরণ করা হয়।

বিএ

Advertisement