খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত লাইসেন্স ফি কমানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন খুলনার ব্যবসায়ী সমাজ। এবিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তাক্ষেপ কামনা করা হয়।বুধবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক খুলনার সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ফি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করার প্রেক্ষিতে খুলনার ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় কাহারো সাথে আলাপ আলোচনা না করে খুলনার ব্যবসায়ীদের উপর অস্বাভাবিকহারে ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করে বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন। খুলনার মেয়র সর্বনিন্ম হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি সর্বোচ্চ হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি গ্রহণ করে খুলনার ব্যবসায়ীদের-কে হয়রানি ও দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে সিটি মেয়রকে বহুবার বলা সত্বেও তিনি এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। ফলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি, খুলনা খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপ ও মংলা ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চেম্বার পরিচালক এসএম ওবায়দুল্লাহ, ফকির সাইফুল ইসলাম ও মফিদুল ইসলাম টুটুল, চেম্বার পরিচালক খালিদ হোসেন পিউ, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, অলিউর রহমান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, এমএম আসাদুজ্জামান, কাজী গোলাম ফারুক, নুরুল ইসলাম খান কালু, অসীম কুমার সোম, ওসমান গনি প্রমুখ।আলমগীর হান্নান/ এমএএস/এমএস
Advertisement